বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারে সরকারী রাস্তা দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলার অভিযোগ উঠেছে সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা প্রভাবশালী সৈয়দ জাহিদ আলী ও তার ভাই সৈয়দ ফরহাদের বিরুদ্ধে।

রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে পথচারী ও বাজারে আগত লোকজন বিপাকে পড়েছেন। একাধিক ব্যক্তি ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তা দখল করে বন্ধ করতে নিষেধ করলেও সে কারো কোন কথা শুনছে না।





মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে সহস্রাইল বাজারের মধ্য দিয়ে রুপাপাত পাকা রাস্তায় একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তার পাশে সৈয়দ জাহিদ আলীর ১ শতক ৮৬ পয়েন্ট জমি রয়েছে।

ওই জমির উপরে সে গত বছর মার্কেট করার সময় সরকারী রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেন। রাস্তার বাকি অংশ বর্তমানে দখল করে ইট দিয়ে গেঁথে বন্ধ করে দিচ্ছে।

অপরদিকে আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে সহস্রাইল বাজারের পানের গোলি দিয়ে মাছ বাজার যাওয়ার ইটের রাস্তার ২ ফুট রাস্তা দখল করে জাহিদের ভাই ফরহাদ দোকানের সামনে ইটের সোলিং বিছিয়ে রাস্তা দখল করেছে। রাস্তা দখল করার কারনে ভ্যান গাড়ি সহ অন্যান্য যানবাহন নিয়ে মাছ বাজারে যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা, সহস্রাইল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হাবিল আলী, সিদ্দিক খানহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাস্তা দখল করে ইট দিয়ে গাঁথার কারনে বহু বছরের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা বন্ধ হওয়ার কারনে বাজারে আগত ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।

এই রাস্কায় মাটি ফেলিয়ে উচু করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। জাহিদ আলীকে নিষেধ করা হলেও সে কারো কথা না শুনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলেন, এই রাস্তার পাশে জাহিদ আলীর জমি রয়েছে ১ শতক ৮৬ পয়েন্ট। সে মার্কেটটা করেছে ৩ শতকেরর বেশি জমির উপরে। রাস্তার বাকি অংশটুকু এখন বন্ধ করে দিয়েছে।

সৈয়দ জাহিদ আলী বলেন, জমিটি কয়েকবার মাপা হয়েছে। রাস্তাটি আমার জায়গায়। রাস্তার জায়গা নিচেই সেখানে চায়ের দোকান রয়েছে। আমার জায়গায় কাজ করা হচ্ছে।
সৈয়দ ফরহাদ বলেন, অনেকেই তাদের দোকানের সামনে জায়গা জুড়ে কাজ করেছে তাই আমি করছি। প্রয়োজনে ইট উঠিয়ে নিব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, রাস্তা বন্ধ করার সংবাদ পেয়েছি। কাজ চলছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।